নতুন গাড়ি কেনার পর সাধের সেই ধন খোয়া গেল দুঃখের শেষ থাকেনা। এজন্য নানান সুরক্ষা অবলম্বন করতে হয়। ইন্স্যুরেন্সের মারফৎ খোয়া যাওয়া টাকার কিছুটা ফেরত পাওয়া গেলেও সেখানে সমস্যার শেষ থাকেনা। এদিকে ভারতের বাজারে গাড়ি চুরির ঘটনা আকছার ঘটতে থাকে। চোর বাজারে পুরনো গাড়ির চাহিদাও অনেকটাই বেশি।
বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাগুলির পরিসংখ্যান বলছে যে, চোরদের নজর বেশিরভাগই সেই গাড়িগুলির উপর নিবদ্ধ থাকে যেগুলোর বিক্রি অনেকটাই বেশি। এই তালিকায় রয়েছে Hyundai Santro xing, Maruti WagonR ইত্যাদি মডেলগুলো। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন পুরাতন গাড়ি যেগুলো মার্কেট থেকে উঠে গিয়েছে সেগুলোর যন্ত্রাংশের কারণেও গাড়ি চুরি হয়ে যায়। চুরির পর বিভিন্ন পার্টস খুলে খুলে বিক্রি করে দেয় চোরেরা।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভারতে প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষেরও বেশী গাড়ি চুরি হয়। আর এই তালিকায় রয়েছে হ্যাচব্যাক, SUV এবং সেডানের মতো সমস্ত যানবাহন। বিভিন্ন এজেন্সি জানাচ্ছে যে, চোরেরা বাড়ি, অফিস বা পার্কিং লটে পার্ক করা যানবাহনগুলিকে টার্গেট করে। এক্ষেত্রে দামী গাড়ির বদলে সস্তা ও মধ্যবিত্তের সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি যেমন Santro xing, WagonR, Maruti Swift, Hyundai creta এবং Honda city বেশি চুরি হয়।
উল্লেখ্য যে, চোর বাজারে পুরাতন স্যান্ট্রো জিং এর মতো গাড়ির যন্ত্রাংশের চাহিদা বেশি। NCR সহ বেশ কয়েকটি মেট্রো শহরের লোকেরা সহজেই সিএনজি স্যান্ট্রোর পুরানো ভার্সনের জন্য 55 হাজার থেকে 1.25 লক্ষ টাকা খরচ করতে রাজি। এছাড়া রয়েছে মারুতির WagonR। বাজারে যেমন ব্যপক বিক্রি হয় তেমনই চোরদেরও পয়লা নম্বর টার্গেট এটি।
সম্প্রতিক মাইক্রো-SUV গাড়ির ক্রেজ বাড়ার পর থেকে গাড়ি চোরদের কাছে এই সেগমেন্টের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এই সেগমেন্টে টার্গেট Hyundai এর Creta। কিছুদিন আগেই আবার Creta Facelift লঞ্চ হয়েছে। শহরের দিক থেকে Creta এবং এই জাতীয় গাড়িগুলো চুরি করে গ্রামের দিকে বিক্রি করে দেয় চোরেরা। তাই এবার থেকে গাড়ি পার্ক করার আগে সাবধান হয়ে যান, নতুবা আপনার শখের বাহন চুরি হয়ে যাবে আর আপনি টেরও পাবেন না।