নতুন বছরে অনেকেই গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু বর্তমানে EV ট্রেন্ড বাড়তে থাকায় অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন কোন গাড়ি কেনা যায়, EV নাকি পেট্রোল চালিত গাড়ি। ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের গাড়ির ওপর বড় অফার দেওয়ার কারণে গাড়ির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে পেট্রোল বা অন্য কোনো জ্বালানি চালিত গাড়ি নেওয়া যায় নাকি বৈদ্যুতিক গাড়ি। আর এই সমস্যার উত্তর দেবে আমাদের এক্সপার্ট টিম। চলুন আপনাদের জানাই এই নিয়ে।
পরিবেশ এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবে বেশিরভাগ মানুষই আজকাল EV এর প্রতি ঝুঁকেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ইনফ্লুয়েন্সারও আজকাল বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনারই উপদেশ দিচ্ছেন। দীর্ঘমেয়াদে এই গাড়িগুলো বেশী উপকারী প্রমাণিত হয়। কিন্তু আপনি যদি স্বল্পমেয়াদে গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন তাহলে কিন্তু EV কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনঃবিবেচনা করে দেখা উচিত।
বৈদ্যুতিক গাড়ির কী কী সুবিধা রয়েছে?
EV নিয়ে বলতে গেলে সর্বাগ্রে আসবে সেটির চালানোর খরচ সম্পর্কে। একটি পেট্রোল গাড়িতে 1KM চালানোর সময় 7 টাকা পর্যন্ত খরচ হয়, সেখানে EV চালানোর সময় এক টাকারও কম খরচে 1KM যাওয়া যায়। এটা বললে ভুল হবে না যে EV-র ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে 6 টাকা লাভ থাকছে। কিন্তু তবুও এইভাবে হিসেব করাটা উচিৎ নয়। কেন নয় তা নীচে জানাচ্ছি।
আসলে অনেক সময় EV এর খরচ বলতে কেবল সেটি চালানোর খরচই দেখা হয়। সেক্ষেত্রে খরচ কম থাকলেও দীর্ঘ সময়ের হিসেব করলে এই খরচের হিসেবে পরিবর্তন আসবে। কারণ 7-8 বছর পর গাড়ির ব্যাটারিটি বদলে ফেলতে হবে, যা কিনা এক বড় খরচ। উদাহরণ স্বরূপ Nexon EV তে 8 বছর পর ব্যাটারি পরিবর্তন করতে গেলে আপনার খরচ পড়বে 8 লক্ষ টাকা।
এছাড়াও আরো খরচ রয়েছে বিভিন্ন EV এর। এছাড়া শুধু যে ব্যাটারি চেঞ্জ করার খরচ রয়েছে তাই নয় সেইসাথে আবার যুক্ত হবে বিভিন্ন পার্টসের দাম যা কিনা পেট্রোল চালিত গাড়ির তুলনায় কিছুটা দামী। সমস্যার বিষয় এই যে, Re-selling মার্কেটে আবার এই ধরণের গাড়ির বেশি দাম পাওয়া যায়না সেখানে পেট্রোল চালিত গাড়ি বেশ ভালো দামে পাওয়া যায়। সাথে EV এর আরেক সমস্যা সঠিক চার্জিং পরিকাঠামো না থাকা। এজন্য আবার কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।