গোটা এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ির বাজার হল ভারত। রোজই হাজার হাজার যানবাহন কেনাবেচা হয় এই দেশে। আর তারসাথে তৈরি হয় হাজার হাজার নম্বর প্লেট। তবে কখনও কি ভেবেছেন যে এই নম্বর প্লেটের অর্থ কী? আসলে প্রতিদিন এ মাথা থেকে ও মাথা যত গাড়ি দৌড়াচ্ছে তাদের পরিচয় বহন করে এই নম্বর প্লেট। কিন্তু কীভাবে?
এটুকু কমবেশি আমরা সকলেই জানি যে, নম্বর প্লেটের দ্বারা একটি গাড়িকে শনাক্ত করা যায়। তবে তাতে তাতে লেখা শব্দ-সংখ্যার মানে কি জানেন? একটি নম্বর প্লেটে যে শব্দ ও সংখ্যা থাকে তা থেকে অনেকগুলি বিষয় বোঝা যায়। গাড়িটি কোন দেশের, কোন রাজ্যের সবকিছু স্পষ্ট হয় এই নম্বর প্লেট থেকে।
বোঝার স্বার্থে ধরে নিন গাড়ির নম্বর প্লেটে লেখা নম্বরটি হল, HR26DQ5551 – প্রথম দুটি শব্দ গাড়িটি কোন রাজ্যের তা নিশ্চিত করে। যেমন WB 04 D ****, গাড়ির পিছনে এই নম্বর প্লেট দেখলে নিশ্চিন্তে বলে দিতে পারেন এটি পশ্চিমবঙ্গের গাড়ি। পরের সংখ্যা দুটি হল রাজ্যটির জেলার অনুক্রমিক সংখ্যা। এরপর চারটি ইউনিক নাম্বার দেওয়া হয়। 0001, 0005 এর মত নম্বরগুলি হল VIP নম্বর যা RTO এর কাছ থেকে মোটা টাকা খরচ করে নিলামে কিনতে হয়।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল নম্বর প্লেটে থাকা অশোক চক্র এবং উক্ত দেশের আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রেশন কোড। যেমন ভারতের ক্ষেত্রে লেখা থাকবে ‘IND’। আর এর ব্যবহার দেখা যায় হাই সিকিউরিটি রেজিস্ট্রেশন প্লেটগুলিতে (HSRP)।
হাই সিকিউরিটি রেজিস্ট্রেশন প্লেটের অর্থ কী?
2019 সাল থেকে HSRP বা ট্যাম্পার-প্রুফ প্লেট বাধ্যতামূলক করা হয়। এটি মূলত গাড়ি চুরি কমানোর উদ্দেশ্যে করা হয়। এগুলি সম্পূর্ণ অ্যালমুনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়। নম্বর শুরু হওয়ার আগে 20 মিটার x 20 মিটারের একটি নীল রংয়ের অশোক চক্র দেওয়া হয় এবং কান্ট্রি কোড লেখা হয়।
এই HSRP নম্বর সংযুক্ত থাকে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন সঙ্গে। ঐ গাড়ি যদি কোনোভাবে চুরি যায় তাহলে তা খুঁজে বের করতে সাহায্য করে HSRP নম্বর। এর খরচ কিন্তু রাজ্য ভেদে আলাদা। সাধারণত টু হুইলারের ক্ষেত্রে 400 টাকা এবং চার চাকার জন্য 1100 টাকা খরচ হয়ে থাকে।