![](https://autoscoop.in/wp-content/uploads/2023/09/bajaj-ct-110-x.jpg)
মোটরবাইক বা গাড়ির কার্যকারিতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। গণপরিবহনে ভিড় বেড়ে চলার কারণে অনেকেই নিজস্ব পরিবহন যন্ত্র ব্যাবহার করার পক্ষে। গাড়ি গাড়ির প্রাচুর্যতা না থাকায় দুই চাকাই বাহনই অধিক পছন্দের হয়ে ওঠেছে। কিন্তু সেখানেও কি আর রেহাই মিলছে, মূল্যবৃদ্ধির ফলে তরতরিয়ে বেড়েছে বাইকের দাম। কিন্তু নতুন Bajaj CT 110X আপনার জন্য সেরা প্রমাণিত হতে পারে।
ভারতে স্পোর্টস বাইকের চাহিদা আগের চেয়ে অনেকাংশে বাড়লেও আজও কমিউটার বাইকের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ মানুষই পয়সা বাঁচিয়ে চলতে ভালোবাসেন। আর তাই জনগণের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যের বাইক গুলোই অধিক পছন্দের। বিভিন্ন কোম্পানিও সস্তার বাইক নিয়ে এসেছে ভারতের বাজারে। বাজাজ তাদের নতুন CT 110 বাইকটি লঞ্চ করেছে দেশের বাজারে। সস্তা হওয়ার সাথে জ্বালানি খরচেও বেশ সাশ্রয়ী। চলুন দেখে নেওয়া যাক কী কী স্পেসিফিকেশন রয়েছে সেখানে।
1. ইঞ্জিন : এখানে রয়েছে 115 সিসির 4 স্ট্রোক, এয়ার কুলড DTsi সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটি 8000 RPM-এ 8 hp শক্তি এবং 5500 RPM-এ 10 Nm পিক টর্ক উৎপন্ন করে৷
2. মাইলেজ : বাজাজের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই বাইকটি প্রতি লিটারে 70 কিমি যেতে পারবে।
3. ব্রেক : সামনে ও পিছনে ড্রাম ব্রেক রয়েছে। তবে ডিস্ক ব্রেক ভার্সনও উপলব্ধ রয়েছে।
4. ডিজাইন : 11লিটারের ফুয়েল ট্যাংকের সাথে আসা এই গাড়িটির ডিজাইনও বেশ আদর্শ। হালকা ওজনের একদম মিনিমালিস্ট বাইক এই Bajaj CT 110X। ছোট হেডলাইট গ্রিল, কালো অ্যালয়, ইঞ্জিন কেসিং এবং বডি প্যানেল থাকায় গাড়িটির লুক একদম নতুন মাত্রা পেয়েছে যেন।
গাড়িতে রয়েছে পাঁচ স্পিডের গিয়ারবক্স এবং দারুণ আকর্ষণীয় V শেপের LED DRL। যদিও সামনের মূল হেডলাইটে LED নেই। তবে স্মুথ রাইডের জন্য রয়েছে একটি টেলিস্কোপিং ফর্ক এবং দুটি শক অ্যাবজর্ভার সাসপেনশন সিস্টেম। সামনে এবং পিছনে দুই চাকাতেই 130mm এর ড্রাম ব্রেক রয়েছে।
দাম কত : বিভিন্ন ভার্সনের দাম অবশ্য বিভিন্ন। CT 125X-এর ড্রাম ব্রেক ভার্সানের দাম শুরু হচ্ছে 55,494 টাকা থেকে। ডিস্ক ভার্সনের ক্ষেত্রে দাম শুরু হচ্ছে 62,000 টাকা থেকে। CT 110X হিরো’র Splendor Plus এবং হন্ডা’র SP 100-কে জোর টক্কর দেবে।