2003 সালে বাজারে এসেছিল Hero Karizma। তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাইকগুলির মধ্যে একটা ছিল এই বাইক। প্রায় 20 বছর ফের একবার সেই বাইকের নতুন ভার্সন আনল দেশের সবথেকে বড় টু হুইলার কোম্পানি হিরো মটোকর্প। গত মাসেই লঞ্চ হয়েছে Hero Karizma XMR 210। হিরো কারিশমা নজর কাড়লেও এই মোটরসাইকেলকে টক্কর দেওয়ার জন্য রয়েছে বাজাজের-এর একটি দমদার বাইক। আর সেটি হল Bajaj Pulsar 220। এখন এই দুটি বাইকের কার কী ফিচার্স, কে কার থেকে কতটা এগিয়ে সেই সবকিছুই জানবো আজকের প্রতিবেদনে।
ইঞ্জিন (Engine) : Hero Karizma XMR 210 একটি শক্তিশালী 210-cc লিকুইড-কুলড 4V DOHC ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যা সর্বোচ্চ 25.15 হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করতে পারে। সঙ্গে রয়েছে 6 স্পিড গিয়ারবক্স। এদিকে Bajaj Pulsar 220 তে দেওয়া হয়েছে একটি 220-cc সিঙ্গেল-সিলিন্ডার এয়ার-কুলড, ফুয়েল-ইনজেক্টেড ইঞ্জিন যা 20.4 হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করতে পারে। সঙ্গে বাইকটিতে রয়েছে 5 স্পীড গিয়ারবক্স।
ব্রেক সিস্টেম ও ফিচার্স (Break System And Features): Hero Karizma XMR 210-র দু চাকাতেই রয়েছে ডিস্ক ব্রেক এবং ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। এছাড়াও বাইকটিতে 11 লিটার ফুয়েল রাখার ক্যাপাসিটি রয়েছে। এদিকে Bajaj Pulsar 220 তে রয়েছে রিয়ার ডিস্ক ব্রেক এবং অ্যান্টি চ্যানেল ব্রেকিং সিস্টেম। এই বাইকটিতে রয়েছে 15 লিটার ফুয়েল রাখার ক্যাপাসিটি।
অন্যান্য ফিচার্সের যদি কথা বললে Hero Karizma XMR 210 তে দেওয়া হচ্ছে LED হেডলাইট, LED DRL, LCD ডিসপ্লে, সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন ইত্যাদি। অন্যদিকে Bajaj Pulsar 220 তে মিলবে ডিআরএল সহ এলইডি প্রোজেক্টর হেডল্যাম্প এবং বাল্ব ইন্ডিকেটর, অ্যানালগ ডায়াল সেমি ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাসটার, বাইকের তেল যাচাই করার জন্য ডিজিটাল ফুয়েল ইন্ডিকেটর এবং স্পিডোমিটার ইত্যাদি।
দাম (Price) : নতুন Hero Karizma XMR এর দাম ধার্য্য করা হয়েছে 1.73 লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)। এটি এইমুহুর্তে আইকনিক ইয়েলো, ম্যাট রেড এবং ফ্যান্টম ব্ল্যাক__এই তিনটি কালারে উপলব্ধ। এদিকে Bajaj Pulsar 220 এর দাম রাখা হয়েছে 1.38 লক্ষ টাকা (এক্স শোরুম)। বাইকটি ব্ল্যাক-ব্লু, ব্ল্যাক-রেড এবং ব্ল্যাক-সিলভার__এই তিনটি কালার কম্বিনেশনে উপলব্ধ।