বর্তমান সময়ে বাড়িতে গাড়ি থাক বা না থাক একটা বাইক থাকা ভীষণ জরুরী হয়ে পড়েছে। শখ হোক কী প্রয়োজন, বাড়িতে একটা বাইক থাকলে বিপদে পড়তে হয়না। বিশেষ করে ছেলেদের কাছে তো বাইক মানেই ইমোশন। নতুন বাইক কেনার অভিজ্ঞতা সব সময়ই স্মরণীয়। কারণ বাইকপ্রেমীদের কাছে বাইক কেবলমাত্র বাহন না। তার চেয়েও বেশি কিছু।
তবে বাইক কেনার আগে পরিকল্পনা না করলে কিন্তু পরে পস্তাতে হতে পারে। বিশেষ করে বাজেটের ব্যাপারটা কিন্তু সকলেরই মাথায় রাখা উচিত। যেমন ধরুন, আপনার পছন্দের বাইক হচ্ছে Yamaha R15। এখন এই বাইক কেনার জন্য ঠিক কত টাকা আপনার ব্যাঙ্কে মজুত থাকা উচিত এবং কত টাকা আপনার মাসিক রোজগার হওয়া উচিত সেই হিসেবটা জানেন কি?
আজকাল অনেকেই চাকরি পাওয়ার সাথে সাথেই প্রথমে গাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনে ফেলেন। বিশেষ করে মেট্রো শহরগুলিতে এই প্রবণতা ভীষণ বেশি। কারণ আজকালকার দিনে লোন পাওয়া এতই সহজ যে সামান্য কিছু টাকা ডাউন পেমেন্ট করে বাইক কেনা যায়। তবে সেক্ষেত্রেও নিজের স্যালারি এবং সেভিংসের হিসেবটা করেই তবেই পা বাড়াতে হয়।
প্রথমেই বলি Yamaha R15 এর বেসিক মডেলের প্রারম্ভিক দাম প্রায় 1 লক্ষ 80 হাজার টাকা। এরপর 15 হাজার টাকার RTO এবং 15 হাজার টাকার ইন্সুরেন্স খরচ যোগ হবে। সবমিলিয়ে অনরোড এই গাড়ির দাম হয় প্রায় 2 লক্ষ 10 হাজার টাকা। আপনি যদি গাড়িটি ক্যাশ দিয়ে কিনতে চান সেক্ষেত্রে আপনার 4 থেকে 5 লক্ষ টাকা সেভিংস থাকা দরকার। আর আপনি যদি লোন প্রেফার করেন সেক্ষেত্রে 70 হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট করে 1 লক্ষ 40 হাজার টাকার লোন নিতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আপনার মাসিক EMI খরচ পড়বে 4500 টাকা। একই সাথে গাড়ির ফুয়েল খরচ এবং বাকি মেইনটেনেন্স খরচ বাবদ আরো 2000 টাকা হিসেবে যোগ করুন। এরপর আপনার মাসিক ইন্সুরেন্স বাবদ খরচ হবে প্রায় 6000 টাকা। সবে মিলিয়ে আপনার মাসিক রোজগার যদি 30 হাজার টাকা হয় তাহলে আপনি এই গাড়ি কিনতেই পারেন।