স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে অনেকেই গাড়ি বা বাইকের সামনে দেশের জাতীয় পতাকা লাগিয়ে রাখেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠান চলে, আর সেখানে যারা অংশগ্রহণ করেন তারা বহু সময় জাতীয় পতাকা লাগিয়ে বের হন। কিন্তু বেশীরভাগ মানুষই কিন্তু এক্ষেত্রে ভারতীয় পতাকার অবমাননা করে ফেলেন। তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সকলের কর্তব্য এই নিয়ে কী নিয়ম রয়েছে তা জেনে নেওয়া।
ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পতাকার জন্য তৈরি হওয়া ফ্ল্যাগ কোডের বিষয়ে খোঁজখবর রাখাটা জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ দেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনি যদি বাইক অথবা গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে বের হন তাহলে ফ্ল্যাগ কোড অমান্য করেছেন। তাহলে ফ্ল্যাগ কোডে কী বলা হয়েছে ?
ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কোড :- জানিয়ে রাখি যে, প্রিভেনশন অফ ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনর অ্যাক্ট 1971 এর ধারা 3.23 অনুযায়ী, আপনি যদি গাড়ির হুড, টপ সাইড বা পিছনে, ট্রেন ও বোটের কোথাও জাতীয় পতাকা লাগাতে পারেননা। এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যদিও আপনি নিজের হাতে রাখতে পারবেন, কিন্তু গাড়িতে লাগলে জেল পর্যন্ত হতে পারে।
কী শাস্তি হতে পারে :- ভারতীয় পতাকার অবমাননা করলে 3 বছর পর্যন্ত জেল, অথবা জরিমানা এমনকি উভয় শাস্তিই হতে পারে আপনার। তাই আবেগের বসে কিছু ভুল করে ফেলবেন না যেন। তাহলে কারা গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগাতে পারেন? আসলে এই নিয়েও বলা রয়েছে ফ্ল্যাগ কোডে। চলুন তাও জানাচ্ছি।
কারা গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারেন :- ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, হাই কোর্টের বিচারপতি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, লোকসভা ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং বিধানসভা ও কাউন্সিলের স্পিকার।
উল্লেখ্য, ফ্ল্যাগ কোড অনুযায়ী জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করার জন্যও উপযুক্ত আকার থাকা প্রয়োজন। আর এই আয়তন হলো, VVIP বিমানের জন্য 450 × 300 মিলিমিটার, মোটরগাড়ির জন্য 225 × 150 মিলিমিটার এবং টেবিলের জাতীয় পতাকার জন্য 150 × 100 মিলিমিটার।