Read In
Whatsapp
Bike NewsElectric VehicalNews

ই-স্কুটারে চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহারের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিল ভারত, বন্ধ হয়ে গেল মোটা অংকের ভর্তুকি!

ভারত ধীরে ধীরে আরো বড় হয়ে উঠছে। অর্থনীতি ফুলে ফেঁপে উঠছে আর বাজারের পরিমাণ বাড়ছে দ্রুত। এমতাবস্থায় ভারতকে আরো শক্তিশালী বানিয়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী আত্মনির্ভর ভারতের স্লোগান দেন। মেক ইন ইন্ডিয়া এবং আত্মনির্ভর ভারত, এই দুইয়ের মিশেলে তৈরি হয় আগামী ভারতের পথ। আর এই পথকে সুগম করার জন্য সরকার নানান রকম স্কিম নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে ভারতের নির্মাণ করলে সরকারের থেকে বিশেষ ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যেত।

বাজারকে আরো বেশি আত্মনির্ভর করার জন্য নেওয়া সিদ্ধান্তের অপ প্রয়োগের খবর এসেছে। একথা কারোর অজানা নয় যে, ভারত বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দুই চাকার বাজার। এই বাজারকে জ্বালানি জাতীয় গাড়ি থেকে মুক্ত করতে বৈদ্যুতিন পণ্যের ওপর বড় অংকের ভর্তুতির ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু দেখা যায় ভর্তুকির সুবিধা নিলেও যন্ত্রাংশ তৈরির পরিবর্তে তা চিন থেকে ইমপোর্ট করছে বেশ কিছু কোম্পানি।

সরকারের তাই নিয়ম উল্লঙ্ঘনের কারণে হিরো সহ 6টি শীর্ষ ই-স্কুটার নির্মাতাকে ভর্তুকি বাবদ 500 কোটি টাকা বা 60 মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত চেয়েছে। বাকি কোম্পানিদের ভর্তুকি পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। আসলে Okinawa এবং Ola এর মত কোম্পানির স্কুটারে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনার তদন্তে নামতেই পুরো বিষয়টি সামনে আসে। সেখানে দেখা যায় চিন থেকে যন্ত্রাংশ আমদানির কারণে স্কুটার গুলোর মানের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই কোম্পানিগুলোর। এরফলেই দুর্ঘটনা ঘটছে বড় আকারে।

সরকারের তরফে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে কিছু ছোট কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ Ola বড় আকারের ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে এলেও Okinawa, Hero, Greaves Electric Mobility Pvt, Revolt Motors, Benling India Energy & Technology Pvt এবং Amo Mobility Solutions Pvt জমি হারাচ্ছে। সেইসাথে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতেও বড় লড়াই করতে হচ্ছে তাদের।

Ather Energy তাদের ইনভেস্টর Hero MotoCorp Ltd. এবং GIC Pte থেকে 9 বিলিয়ন রুপি সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে TVS তহবিলের জন্য আলোচনা করছে Goldman Sachs Group এর সাথে। Hero Electric 2007 সালে এই বাজারে প্রবেশ করলেও তাদের টিকে থাকা আরো জটিল হয়ে পড়েছে। কিন্তু সমস্ত আইন মেনে চলার কারণে Ola এর মতো নতুন কোম্পানির সেরকম সমস্যা হচ্ছেনা।

সরকারের তরফে কঠোর আত্মনির্ভর আইনের কারণে পর্যদুস্ত হয়েছে বেশ কিছু কোম্পানি। কারণ বহু স্টার্ট আপ গড়েই ওঠেছে চিন থেকে আগত সাপ্লাই লাইনের ওপর নির্ভর করে। যা আদতে ভারতের ক্ষতিসাধন করবে দীর্ঘ সময়ের হিসেবে। তাই ভারতে উৎপাদনের জন্য জোর দিচ্ছে সরকার। ভর্তুকির বড় অংকের টাকা না থাকলে কোম্পানি গুলোর টিকে থাকা আরো জটিল হয়ে পড়বে। এখন দেখার সরকারের তরফে নেওয়া সিদ্ধান্তের পর বিভিন্ন কোম্পানি নিজেদের আগামী স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে কিনা।

Back to top button