ভারতে গাড়ির বাজার বেড়েছে বেশ অনেকটা। রোজগার বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে গাড়ির চাহিদা। এমতাবস্থায় আপনিও যদি গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন তাহলে সেখানে রয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। তবে আগেভাগেই দেখে নিতে হবে কি ধরণের গাড়ি কিনবেন। অর্থাৎ কোন জ্বালানির গাড়ি নেবেন আপনি। এক্ষেত্রে পেট্রোল এবং ডিজেলের সাথে সাথে অপশন রয়েছে CNG এর। এক্ষেত্রে কোন জ্বালানির গাড়ি কেনা ভালো হবে এই বিভ্রান্তি দূর করবে আমাদের এক্সপার্ট টিম। চলুন বিষয়টি সম্পর্কে পুরো তথ্য জানাচ্ছি আপনাদের।
ডিজেল, পেট্রোল এবং CNG এই তিন জ্বালানির ওপর নির্ভর করে তিন ধরণের ইঞ্জিন রয়েছে বিভিন্ন গাড়িতে। প্রতিটি ধরণেরই নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। আর সেগুলো ভালো করে জেনে নিলেই গাড়ি কেনার সময় কোনো প্রশ্ন থাকবেনা। চলুন তাহলে এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
কর্মক্ষমতা এবং আরামের দিকে দিয়ে পেট্রোল গাড়ির পারফরম্যান্স অনেকটাই বেশি। এটি ডিজেল এবং CNG ইঞ্জিনের থেকে বেশি ভাল পিক আপও দেয়। অন্যদিকে ডিজেল চালিত গাড়ির পিকআপ কম থাকলেও দীর্ঘ সফরে বেশি ভালো কর্মক্ষমতা দেয়। CNG চালিত গাড়ির শক্তি এবং টর্ক উভয়ই খুব কম।
এখানে বলে রাখি যে, CNG গাড়িতে বুট স্পেস কম পাওয়া যায়। বুট স্পেসে গ্যাস সিলিন্ডার বসানোয় সিএনজি গাড়িতে লাগেজ রাখতে অসুবিধা হবে। মাইলেজের কথা বললে ডিজেল ও সিএনজি গাড়ির তুলনায় পেট্রোল গাড়ির মাইলেজ কম রয়েছে। ডিজেল গাড়ির মাইলেজ পেট্রোলের থেকে বেশি হলেও সিএনজির থেকে কম। সিএনজি গাড়িতে লম্বা মাইলেজ রয়েছে।
আবার CNG গাড়ির মাইলেজ বেশি হলেও পেট্রোল বা ডিজেলের তুলনায় এটির প্রাপ্যতা কম। যেখানে পেট্রোল এবং ডিজেল পাম্প অহরহ রয়েছে সেখানে মেট্রো শহর ছাড়া CNG পাম্পের সংখ্যা অনেকটাই কম। এখানে উল্লেখ্য যে, পেট্রোল চালিত গাড়ির দাম আবার কম হয়। সবচেয়ে দামী ডিজেল চালিত গাড়ি। আবার ডিজেল গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেশি।