বাইকের মাইলেজ নিয়ে অনেকেই বেশ চিন্তিত। আর হবেনাই বা কেন, জ্বালানির যা দাম। কিন্তু বেশ কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলেই মাইলেজ সমস্যার সমাধান হতে পারে। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে মাইলেজ তরতরিয়ে বেড়ে যাবে।
1) অ্যারোডাইনামিক্স ডিজাইন
অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন থাকলে তা বাইকের মাইলেজের জন্য বেশি উপযোগী। তীক্ষ্ণ চেহারার বাইকগুলো সহজেই বাতাস কেটে এগিয়ে যেতে পারে। আসলে এক্ষেত্রে ইঞ্জিনের ওপর চাপ কম সৃষ্টি হওয়ার ফলে সেগুলোর তেল খরচ কম হয়। এজন্য বাইকে অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন থাকলে সেই নিয়ে চিন্তা করার দরকার পড়েনা।
2) ঘন ঘন গিয়ার পরিবর্তন
বাইকে ঘন ঘন গিয়ার পরিবর্তন করলে মাইলেজের ওপর চাপ পড়ে। নির্দিষ্ট গতিবেগ এবং উপযোগী গিয়ারে বাইক চালানো হলে তবেই জ্বালানির ঠিকঠাক ব্যবহার সম্ভব হবে।
3) বাইকের উপযোগী টায়ার
আপনার বাইকের টায়ার যদি মোটা, চওড়া বা ভারী হয় তাহলে তেল খরচও বাড়া কমা হতে থাকে। এজন্য বাইকের উপযোগী টায়ার ব্যবহার করতে হবে যাতে সেখানে ঠিকঠাক তেল খরচ হয়।
4) জ্বালানি কখন ভরছেন সেটাও নির্ভর করে মাইলেজের ওপর
জ্বালানি কখন করছেন তার ওপরও নির্ভর করছে গাড়ির মাইলেজ। এক্ষেত্রে সকাল এবং সন্ধ্যাবেলা জ্বালানি ভরে নেওয়ার জন্য একদম আদর্শ। বেলা বাড়লে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, তাই জ্বালানি সম্প্রসারণও বেড়ে যায় আর তার ফলে কম পরিমাণ জ্বালানি আপনার ট্যাংকে আসে।
5) জ্বালানির মানের ওপরেও নির্ভর করে মাইলেজের অংক
গাড়িতে কেমন পেট্রোল ভরছেন তার বড় প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে পেট্রোলের মধ্যে ভেজাল থাকলে যেমন ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় তেমনই মাইলেজও কমবে। এক্সট্রা পেট্রোল ঢাললে গাড়ির মাইলেজ আরো অনেকখানি বেড়ে যায়।
6) বাইকের ওজনের ওপরেও নির্ভর করে মাইলেজ
বাইকে অতিরিক্ত ওজন অর্থাৎ অতিরিক্ত Accessories থাকলে তারও বড় প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে ইঞ্জিনের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয় এবং তার ফলে কমে যায় মাইলেজ।