পরিবেশ সুরক্ষার প্রয়োজনে বড় বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বৈদ্যুতিক গতি এসেছে জ্বালানি গাড়ির পরিবর্তে। সমস্ত ক্ষেত্রেই বিদ্যুতায়ন শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই পরিবর্তন মোটেই সহজ নয়। তার একটা বড় কারণ এই যে, সারাবিশ্বে এখনো চার্জিং অবকাঠামো তৈরি হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আরো একটি অপশন রয়েছে আর তাই নিয়ে কাজ চলছে ভারতে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে, যেমন গাড়িগুলোর রেঞ্জ কম। অর্থাৎ একবার চার্জে খুব বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়। জ্বালানি গাড়িতে যেমন ঝটপট পেট্রোল অথবা ডিজেল পুনরায় ভরে নেওয়া যায় জ্বালানি গাড়িতে সেই অপশন নেই। স্বাভাবিক ভাবেই তা এক বড় সমস্যা। বৈদ্যুতিক চার্জিং অবকাঠামো গড়ে তোলাও বেশ খরচ সাপেক্ষ। আবার হাইড্রোজেন ফুয়েল নিয়ে এখনই কিছু বলাও যাচ্ছেনা।
এমতাবস্থায় ভারতে ইথানলের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় অটোমোবাইল নির্মাতা Bajaj এক্ষেত্রে বিপ্লব নিয়ে আসছে। কিছুদিন আগেই তারা জানায় বাইক এবং স্কুটারে ইথানল ব্যবহার নিয়ে কাজ করবে তারা। আর সেইমতো একটি স্কুটার নিয়ে হাজির সংস্থাটি। এখানে উল্লেখ্য যে, ইথানল-ভিত্তিক যানবাহনগুলি পেট্রোল বা ডিজেল গাড়ির তুলনায় বেশি মাইলেজ দেয় এবং সেইসাথে পরিবেশের জন্যও কম হানিকারক।
বাজাজ সম্প্রতি ইথানলে চালিত একটি স্কুটার চালু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যদিও স্কুটার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বিবরণ এখনও কিছুই প্রকাশ করেনি তারা। তবে এটা স্পষ্ট যে, বাজাজ বিকল্প জ্বালানী নিয়ে অন্বেষণ চালাচ্ছে। ইথানলে চলমান যানবাহন 100 কিমির বেশি মাইলেজ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে আর সেজন্যই এই নিয়ে হাইপ তৈরি হয়েছে।
বাজাজ অটোমোবাইলস এই নিয়ে ঘোষণা করেছে যে, বাজারে আরও ইথানল-ভিত্তিক পণ্য আনতে চলেছে তারা। উচ্চ মাইলেজ এবং পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ইথানল একটি দারুণ অপশন। কয়েকদিন আগে দেশের সড়কমন্ত্রী নীতিন গড়করি খোদ আগ্রহপ্রকাশ করেন এই নিয়ে। যদিও এখনই কোনো ইথানল চালিত গাড়ির উৎপাদন শুরু হয়নি কমই জলদিই বাজারে আসতে পারে সেগুলো।