গাড়ির ইঞ্জিনই হচ্ছে সবকিছু। এই ইঞ্জিন থেকেই গোটা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হয়। এখন এই কথা আর নতুন করে বলে বোঝানোর দরকার নেই যে, একবার গাড়ির ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গেলেই গোটা গাড়ি গেল। তাই ইঞ্জিন নিয়ে অচেতন বা উদাসীন হন তাহলেই বিপদ। তাই যাদের গাড়ি আছে তারা অবশ্যই ইঞ্জিন সংক্রান্ত এই ছোট ছোট বিষয়গুলিকে নজরে রাখুন।
অনেকেই হয়ত শুনে থাকবেন যে ইঞ্জিন স্টার্ট করার সাথে সাথেই গাড়ি চালানো উচিত নয়। তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে, এই কথা কেন বলা হয়? আসলে গাড়ি স্টার্ট করার পর ইঞ্জিনের সমস্ত অংশে ঠিকঠাক অয়েলের প্রয়োজন পরে। তা না হলে ইঞ্জিন ঠিকঠাক কাজ করেনা। আর কেউ যদি ইঞ্জিন স্টার্ট করার সাথে সাথেই গাড়ি চালাতে শুরু করে দেন তাহলে বেশকিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে।
অয়েল সার্কুলেশন : প্রথমেই বলি গাড়ি স্টার্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনের সব কোনায় তেল ঠিকঠাক পৌঁছায়না। এমতাবস্থায় ইঞ্জিন সর্বোচ্চ শক্তি জেনারেট করতে সক্ষম হয়না। এতে করে পার্টসদের মধ্যে ঘর্ষণ অনেক বেড়ে যায় এবং এতে ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়। এই কারণেই ইঞ্জিন স্টার্ট করার পর গাড়িকে ওয়ার্ম আপ করার সুযোগ দিতে হয়।
কম তাপমাত্রা : এক্ষেত্রে তাপমাত্রারও হেরফের হয়। কারণ ইঞ্জিন স্টার্ট করার পূর্বে তাপমাত্রা কম থাকে। তাই ইঞ্জিন গরম হতে বেশ কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। ইঞ্জিন ঠিকঠাক গরম না হলে পরে সমস্যা হতে পারে।
কতক্ষণ অপেক্ষা করা উচিত? এরজন্য বাইরের আবহাওয়া নজরে রাখতে হবে। কারণ শীতকালে ইঞ্জিন গরম হতে যে সময় নেয় গ্রীষ্মকালে সেই সময় নেয়না। আবার গাড়ি পুরনো হলে ইঞ্জিন গরম হতে বেশ সময় নেয়। তাই গাড়ি বিশেষজ্ঞরা বলে, ইঞ্জিন স্টার্ট করার পর মিনিমাম 2-3 মিনিট অপেক্ষা করা উচিত। ইঞ্জিনের সমস্ত পার্টসে তেল পৌঁছানোর পাশাপাশি সেটি কতটা গরম হল সেই বিষয়টাও লক্ষ্য রাখা উচিত।