একথা আমরা সকলেই জানি যে, পৃথিবীতে ফসিল ফুয়েলের পরিমাণ খুবই সীমিত। পেট্রল-ডিজেলের পরিমাণ যে কমছে সে কথা প্রায় সকলেই জানি। এমতাবস্থায় বিকল্প কী? এই উত্তর খুঁজছিলেন অনেকেই। তবে বৈদ্যুতিক যানবাহন আসার পর থেকে সেই চিন্তা অনেকটাই কমেছে। দিনদিন বেড়ে চলেছে বৈদ্যুতিক যানবাহনের রমরমা।
সম্প্রতি একাধিক কোম্পানি একাধিক শক্তিশালী গাড়ি লঞ্চ করেছে বাজারে। যার মধ্যে দুটি হল Tata Nexon EV এবং Hyundai IONIQ 5। অনেকের মধ্যেই এই গাড়ি দুটি নিয়ে ফ্যাশিন্যাশন রয়েছে। অনেকেই চাইছেন পুজোর আগে এই দুটি গাড়ির কোনও একটা বাড়িতে আনার। তার আগে একবার দেখে নিন, দুটি গাড়ির মধ্যেকার পার্থক্য।
Tata Nexon EV : উল্লেখ্য, খুব শীঘ্রই Tata Nexon EV এর আপডেটেড সংস্করণ 14 সেপ্টেম্বর লঞ্চ হতে চলেছে। এই বিলাসবহুল গাড়িটিতে 3.3 কিলোওয়াট এবং 7.2 কিলোওয়াটের দুটি এসি চার্জারের অপশন দিয়েছে সংস্থা। কোম্পানির দাবি, গাড়িটি সিঙ্গেল চার্জে 453 কিলোমিটার ড্রাইভিং রেঞ্জ দেয়। গাড়িটিতে একটি 40.5 kWh ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও গাড়িটিতে রয়েছে 10.25-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম। গাড়িটি 0 থেকে 100 কিমি গতিবেগ তুলতে সময় নেয় মাত্র 9 সেকেন্ড। এতে রয়েছে ফুল-ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, এছাড়াও রয়েছে টাচ বেসড ক্লাইমেট কন্ট্রোলার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 5 সিটার গাড়ি Tata Nexon EV র ইঞ্জিনটি 129 hp শক্তি এবং 245 Nm টর্ক জেনারেট করতে সক্ষম।
Hyundai IONIQ 5 : হুন্ডাই এর এই মডেলটি সিঙ্গেল চার্জে প্রায় 631 কিলোমিটার চলে। গাড়িটি মাত্র 7.6 সেকেন্ডে 0 থেকে 100 কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগ তুলতে সক্ষম। নিরাপত্তার জন্য এতে রয়েছে ADAS। এছাড়াও গাড়িতে দেওয়া হয়েছে 12.3-ইঞ্চি টাচ স্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম এবং একটি 72.6 kWh ব্যাটারি প্যাক-ও দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থার দাবি।
জানিয়ে দিই গাড়িটি 80 শতাংশ চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র 18 মিনিট। এছাড়াও এতে রয়েছে 20 ইঞ্চি অ্যালয় হুইল, নিরাপত্তার জন্য, গাড়িটিতে ছয়টি এয়ারব্যাগ। গাড়িটি 217 hp এবং পিক 350 Nm টর্ক জেনারেট করতে সক্ষম। এইমুহুর্তে মোট তিনটি রঙে উপলব্ধ রয়েছে গাড়িটি এবং IONIQ 5 এর প্রারম্ভিক মূল্য 45.95 লক্ষ টাকা এক্স-শোরুম।