পেট্রোল/ ডিজেলের বিকল্প খুঁজতে বসেছে মানুষ। এটা যে বেশ দুঃসাধ্য তাই নয় বিরল ও বটে। এই কাজে মানবজাতি অবশ্য কিছুটা অগ্রসর হয়েছে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি এবং CNG এর উদ্ভাবনের মাধ্যমে। আপাতত হাইড্রোজেন ফুয়েল নিয়েও গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে ভারত এক্ষেত্রে বাকিদের থেকে এগিয়ে। দেশের অন্দরে ইথানল নিয়ে বেশ বড় বিপ্লব শুরু হয়েছে। E20 এরপর এবার E100 নিয়ে বড় আপডেট এসেছে।
কয়েকদিন আগেই পেট্রোলের সাথে 20% Ethanol মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে E20। কিন্তু সেখানেই থেমে না থেকে আরো অনুসন্ধান চালানো হয় বিষয়টি নিয়ে। আর তাতেই সাফল্য মিলতে শুরু করেছে। নতুন এই ফ্লেক্স ফুয়েলের মাধ্যমে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে। এতে এক ঢিলে বহুপাখি মারতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। যেমন প্রথমেই দূষণ রোধ হবে, সাথে কৃষিজাত পণ্য থেকে ইথানলের উৎপত্তি হওয়ার কারণে ভারতীয় কৃষকদের রোজগার বাড়বে।
নতুন ফ্লেক্স ফুয়েল স্বার্থক প্রমাণিত হলে একইসাথে ভারত 200 বিলিয়ন ডলারেরও বেশী বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাতে পারবে। এই টাকা এবার যাবে দেশের কৃষকদের কাছে। ফলে একইসাথে বহু লক্ষ্য পূরণ হবে নতুন জ্বালানির মাধ্যমে। আর এই পরীক্ষণের জন্য ভারত সরকারের সাথে যুক্ত হয় জাপানি গাড়ি নির্মাতা Toyota। তাদের Innova Hycross গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে ফ্লেক্স ফুয়েলের ওপর।
100% ইথানলের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে Toyota এর এই গাড়িটি। আবার জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে থাকছে বড় আকারের ব্যাটারি প্যাক। এই ব্যাটারি প্যাকের মাধ্যমেও যাতায়াত করতে পারবেন আপনি। তবে শুধু যে সরকারেরই স্বার্থ রয়েছে তাই না, গ্রাহকরাও বড় আকারের ছাড় পাবেন এই জ্বালানির জন্য।
যেখানে পেট্রোলের দাম বহুকাল আগেই 100 পেরিয়ে গিয়েছে সাহায্যে এই E100 জ্বালানির জন্য মাত্র 60 থেকে 65 টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে! অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক হতে চলেছে জ্বালানি খরচ। সবচেয়ে বড় ব্যপার এই যে, সাধারণ জ্বালানি চালিত গাড়ির মতোই চলবে ইথানল চালিত গাড়ি। বর্তমানে বাজারে যে সমস্ত গাড়ি রয়েছে সেগুলোর ইঞ্জিনে অবশ্য সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে ইথানলের মাধ্যমে গাড়ি চালানোর জন্য।