নতুন গাড়ি কেনার স্বপ্ন কার না থাকে। কলেজ জীবন থেকেই তিলে তিলে নিজের গাড়ি কেনার স্বপ্ন তৈরি হয়। কিন্তু কর্মজীবনে ঢোকার পর বাস্তবতা বুঝে অনেকেই আর কিনতে পারেননা। আবার কিছুজন নতুন গাড়ি কিনতে না পেরে পুরনো গাড়িকেই ভরসা করে কাজ চালান। এক্ষেত্রে একসাথে অনেক বিষয়ে খেয়াল না রাখলে কিন্তু বহু কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট হতে পারে। তাহলে পুরনো গাড়ি কেনার সময় কী কী দেখবেন তাই জেনে নিন।
আপনিও যদি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আমরা জানাবো কী কী দেখে নেবেন আপনারা।
১) বন্ধ হয়ে যাওয়া মডেল কিনবেন না : অনেক গাড়ির বিক্রি কমে যাওয়ার পর সেই মডেল বাজারে বিক্রিই বন্ধ হয়ে গেছে। এই সমস্ত গাড়ির দাম কমে যায় অনেকখানি, কিন্তু সস্তায় পেলেও এই ধরনের গাড়ি কিনবেন না। কারণ সেক্ষেত্রে আপনাকে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে। পুরোনো গাড়ি কিনলে যন্ত্রাংশের অভাব থেকে শুরু করে মেরামতের সমস্যা, সবই হতে পারে আপনার। তাই এই থেকেও দূরে থাকুন।
২) বেশি পুরনো গাড়ি না কেনাই শ্রেয় : অনেক সময় বাজারে এমন গাড়ি বিক্রি হয় যেগুলো কম চলেছে ঠিকই কিন্তু তার রেজিস্ট্রেশন বহু পুরনো। গাড়িগুলো ভাল অবস্থায় পাওয়া গেলেও বহুক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে, তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। যেমন Delhi-NCR অঞ্চলে ১৫ বছরের বেশি পুরনো পেট্রোল গাড়ি এবং ১০ বছরের বেশি পুরনো ডিজেল গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই আগেভাগেই সেই তথ্যও দেখে রাখুন।
৩) কম বিক্রি হওয়া ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনবেন না : বাজারে এমন কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে (যেমন ধরুন Citreon অথবা FIAT) যাদের গাড়ি খুব বেশি বিক্রি হয়নি। এসমস্ত ব্র্যান্ড যেকোন সময় বাজারে বিক্রি বন্ধ করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে পার্টস থেকে শুরু করে মেরামত, সমস্ত ক্ষেত্রেই সমস্যা পোহাতে হবে। তাই এইধরনের কোম্পানির সেকেন্ড হ্যাণ্ড গাড়িও কিনবেন না।
৪) পুরনো ডিজেল গাড়িও রাখুন বাতিলের তালিকায় : আসন্ন সময়ে সরকার ডিজেল চালিত গাড়ি নিয়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। জানা যাচ্ছে আসন্ন সময়ে কেন্দ্র সরকারের একটি কমিটি 2027 সাল থেকে ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব নিয়ে আসে। এছাড়া পুরনো ডিজেল গাড়ির কার্যকারিতা আরো হ্রাস পায়, তাই দুই প্রধান কারণে ডিজেল চালিত গাড়ির দিকে মোটেই তাকাবেন না।