জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে রাস্তাঘাটের ভিড়ও। এরমধ্যে আবার আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই যাতায়াতের প্রধান ভরসা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। এলাকা বিশেষে তো বাস, ট্রেন বা ট্রামে এমন ভিড় থাকে যে, সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে কি না তারই ঠিক থাকেনা। আর বাড়িতে কোনও বিপদ আপদ ঘটলে তো থাকে আরেক চিন্তা।
এমন পরিস্থিতিতে একটা নিজস্ব গাড়ি কেনার চিন্তা তো সকলেরই থাকে। তবে কিনবো বললেই কী আর কেনা যায়! এক নতুন চার চাকা সদস্যকে ঘরে আনার আগে করতে হয় নানা ভাবনাচিন্তা। সমস্ত খরচ কুলিয়ে গাড়ির ইএমআই দেওয়া যাবে কী না! গাড়ির মেইনটেনেন্স খরচ কুলিয়ে উঠতে পারা যাবে কী না, এরকম নানাবিধ ভাবনা ভিড় করে মাথায়। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের সমস্যা একটু বেশিই।
এখন যদি ধরে নিই আপনার মাসিক বেতন 30 হাজার টাকা। তাহলে কি আপনার কোনও গাড়ি কেনার কথা ভাবা উচিত? আর ভাবলেও ঠিক কোন গাড়িটি আপনার জন্য পারফেক্ট হবে? ভারতীয় বাজারে এই স্যালারিতে কোন গাড়ি আপনি এফর্ড করতে পারবেন? আজকে এই বিষয়েই বিস্তারিত আইডিয়া দেব পাঠককুলকে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার মাসিক বেতন ধরে নেওয়া হল 30 হাজার টাকা। এবং আপনার মাসিক খরচ যদি 15000 হয় তাহলে আপনার হাতে থাকে 15 হাজার। এটা তো নিশ্চয়ই জানেন যে, মাসিক বেতনের অন্তত 20 শতাংশ রাখা উচিত নিজের সেভিংস এর জন্য। সেক্ষেত্রে আপনাকে রাখতে হবে 6 হাজার টাকা। তাহলে এখন আপনার কাছে থাকে 9 হাজার টাকা।
এসব ছাড়াও ব্যক্তিগত খরচের জন্য 5 হাজার বাদ দিন। তাহলে বাকি থাকে 4 হাজার টাকা। যা গাড়ির মেইনটেনেন্স বাবদ খরচ হবে। এমতাবস্থায় আপনার কাছে যদি মোটা সেভিংস থেকে থাকে তবেই গাড়ি কেনার কথা ভাবা উচিত। তবে আপনার মাসিক খরচ যদি 15 হাজার টাকার কম হয় তবে আপনি গাড়ি কিনতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রেও অভিজ্ঞদের পরামর্শ, আপনি কোনও সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনুন।