জুনে ইতিমধ্যেই চার ও দুই চাকার বাজারে দেশে একাধিক নতুন মডেল লঞ্চ হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে KTM-র মত দুঁদে বাইকও। তবে এবার KTM কে টক্কর দেওয়ার মত বাইক চলে এল বাজারে। এগুলি যেমন লুকিংয়ের দিক দিয়ে তুখোড়, তেমনই চাবুক পারফরম্যান্স। চলুন জেনে নিই এই নতুন মডেলগুলির সম্পর্কে।
আজ যে বাইকদুটির কথা বলছি সেগুলি হল, Bajaj Pulsar N250 এবং Pulsar F250। এইমুহুর্তে বাইক দুটি নীল এবং কালোর কম্বিনেশনে লঞ্চ করা হতে পারে বলে খবর। পালসারে এই কম্বিনেশন সত্যিই দূর্দান্ত লাগে। পাশাপাশি বাইকটির হেডল্যাম্প কাউল, ফ্রন্ট ফেন্ডার, ফুয়েল ট্যাঙ্ক, ইঞ্জিন কাউল, ফেয়ারিং এবং পেছনের প্যানেলকেও নতুনভাবে ডিজাইন করার কথা ভাবছে কোম্পানিটি। বাইকের অ্যালয় হুইলেও নীল রঙের স্ট্রাইপ দেখা যাবে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, বাজাজ পালসার F250 বাইকে একটি দুর্দান্ত ইঞ্জিন দেওয়া হবে। বাইকটিতে 250cc সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনেও ভেরিয়েবল ভালভ অ্যাকচুয়েশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে একটি বড় ফুয়েল ট্যাঙ্ক, টু-পিস সিট, চওড়া আয়না এবং স্লিম LED টার্ন ইন্ডিকেটর। কোম্পানির দাবি বাইকটি 40 kmpl মাইলেজ দিতে সক্ষম।
অপরদিকে Bajaj Pulsar N-250 ইঞ্জিনের কথা বললে, এটি 248.7 cc 4-স্ট্রোক অয়েল-কুলড FI ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন 24.5 PS শক্তি এবং 21.5 Nm পিক টর্ক জেনারেট করে। এটি 5-স্পীড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন দিয়ে সজ্জিত। কোম্পানির দাবি , এই বাইকটি 45 kmpl এর মাইলেজ দিতে সক্ষম।
Bajaj Pulsar N250 বাইকে পেয়ে যাবেন কিছু অতিরিক্ত সুবিধা। উদাহরণস্বরূপ, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। বাইকটিতে অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম দেখা যাবে। এর সাথে রয়েছে 14 লিটারের ফুয়েল ট্যাঙ্ক।
Bajaj Pulsar N250 & Bajaj Pulsar F250 এর দাম : এই দুটি বাইকের দামের কথা বললে, Bajaj Pulsar N-250 ক্যারিবিয়ান ব্লু-এর এক্স-শোরুম প্রাইস হল 1,43,680 টাকা এবং Bajaj Pulsar F250 ক্যারিবিয়ান ব্লু-এর প্রারম্ভিক দাম 1,44,979 টাকা।