মাথা গোঁজার জন্য একটা বাড়ি এবং আরামে যাতায়াত করার জন্য একটা গাড়ি কেনার স্বপ্ন আমাদের অনেকেরই। অন্তত কেরিয়ার শুরু করার পর মানুষের মনে এই ভাবনটাই কাজ করে। কেউ কেউ টাকা বাঁচিয়ে গাড়ি কেনেন তো কেউ কেউ আবার লোন নেওয়ার চিন্তাভাবনা করেন। তবে এক্ষেত্রে যে বিষয়টা সবার আগে মাথায় রাখা উচিত সেটাই অনেকে ভুলে যায়।
আসলে একটা গাড়ি কিনে নিলেই হয়না। গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণও একটা ভাবনার বিষয় বটে। অনেকেই হয়ত ভুলে যান যে, একটা গাড়ি পরিচালনা করা গাড়ি কেনার চেয়েও বেশি ব্যয়বহুল। এমতাবস্থায় বেতনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গাড়ি কেনা উচিত। মাসিক আয়, মাসিক খরচ সবকিছুর হিসেব নিকেষ করে তবেই গাড়ির দিকে আগানো উচিত।
গাড়ি কেনার সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, গাড়ির দাম আপনার বার্ষিক আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। অর্থাৎ আপনার বার্ষিক আয় যদি ১০ লক্ষ হয় তাহলে গাড়ির দাম ৪ লাখের বেশি হওয়া উচিত নয়। পাশাপাশি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনি যদি আগেই কোনও লোন নিয়ে থাকেন তাহলে সেই অঙ্ক আপনার মোট বার্ষিক আয় থেকে বাদ দিয়ে হিসেব করতে হবে।
আর গাড়ি যদি আপনি কিস্তিতে নেন সেক্ষেত্রেও আপনার মাসিক কিস্তির পরিমান আপনার মাসিক আয় ও ব্যায়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত। খেয়াল রাখবেন আপনার গাড়ির কিস্তি আপনার মাসিক আয়ের ৩০ শতাংশ অতিক্রম করা উচিত নয়। আপনি যদি মাসে ৭০ হাজার টাকা উপার্জন করেন সেক্ষেত্রে আপনার গাড়ির কিস্তি হওয়া উচিত ২১ হাজার টাকার কম।
এবং চেষ্টা করতে হবে গাড়ি কেনার সময় নূন্যতম ৩০ শতাংশ টাকা ডাউন পেমেন্ট করতে হবে। কারণ যত লম্বা সময় পর্যন্ত আপনি লোন চালাবেন তত লম্বা সময় পর্যন্ত আপনার উপর ঋণের বোঝা চেপে থাকবে। মাঝে হঠাৎ করে কোথাও টাকার প্রয়োজন হয়ে পড়লে সমস্যায় পড়ে যাবেন। তাই গাড়ি কেনার আগে অবশ্যই একবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভালো।