ভারতীয় বাজারে স্কুটির রমরমা দেখার মত। স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে সবজি বিক্রেতা__এই প্রত্যেকের কাছেই দেখা যায় স্কুটি। নিত্য জাতায়াতের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল-ও হার মানবে এই দু চাকার কাছে। কখনও ভেবে দেখেছেন কি মোটরসাইকেলের চেয়ে ঠিক কী আলাদা রয়েছে এই দু চাকাতে! একটা নয়, একাধিক পার্থক্য রয়েছে স্কুটি আর বাইকের মধ্যে। আজকের প্রতিবেদনে সেটাই জানাবো পাঠকদের।
প্রথম এবং বড় পার্থক্য হল চাকার আয়তন। স্কুটির চাকা যেখানে সরু ও হালকা হয়, বাইকের চাকা সেখানে বড় এবং মোটা হয়। যদিও বর্তমানে বিক্রি হওয়া বহু স্কুটিরই চাকা মোটা এবং ভারি হয়। তবে বাজারে বিক্রি হওয়া 90 শতাংশ স্কুটিরই চাকাই হয় ছোট। চলুন এখন দেখে নিই কেন এই পার্থক্য? কী লাভ হয় এতে?
১. সাধারণত 12-13 ইঞ্চি পুরু হয় স্কুটির চাকা। এর ফলে সিট ও টায়ারের মধ্যে অনেকটা স্পেস তৈরি হয়।
2. এই জায়গায় ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশন রাখে কোম্পনিগুলি।
3. চাকার আয়তন বড় রাখলে এই জায়গার ঘাটতি হবে।
4. পাশাপাশি সিটের নিচে বেশ খানিকটা স্টোরেজও পাওয়া যায়। এখানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখে সবাই।
5. চাকা ছোট হওয়ায়, পা রাখার জন্যেও জায়গা পাওয়া যায়।
6. স্কুটির ওজন কম থাকার পেছনেও ছোট চাকার গুরুত্ব অপরিসীম। এতে শক্তিও কম খরচ হয় এবং মাইলেজও বেশি পাওয়া যায়।
বাইকের থেকে স্কুটির চাকা ছোট হওয়ার অসুবিধা –
1. সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে এতে। ছোট চাকার কারণে একে কন্ট্রোল করা যায়না। অর্থাৎ স্পিড বাড়ালে স্কুটির চাকা নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে।
2. ছোট চাকায় গ্রিপও কম হয়। ফলে একটানা স্কুটি চালালে চাকার কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে।
3. পাথুরে জমি বা বালির উপর স্কুটি চালানো অসম্ভব প্রায়। যে কোনও সময় নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে।
4. রাস্তা ভালো হলেও স্পিড বাড়ানোর জো নেই। কারণ যে কোনও সময় নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে।
অতএব স্পীডের জন্য নয় বরং অতিরিক্ত স্পেস এবং ইঞ্জিনের ক্ষমতা অনুযায়ী ভালো মাইলেজ দেওয়ার জন্য স্কুটির চাকা ছোট রাখা হয়। আজকের দিনে এমন অনেক স্কুটারই রয়েছে যাদের মাইলেজ বাইকের চেয়েও বেশি। স্কুটির কম ওজন, ছোট চাকা এবং যান্ত্রিক জটিলতা কম থাকার কারণে ইঞ্জিন ভালো থাকে। ওদিকে বাইকের ইঞ্জিন শক্তিশালী হলেও একাধিক ফিচার্স, ওজন ইত্যাদির কারণে ইঞ্জিনের উপর চাপ অনেক বেশি থাকে।