বাজারে বেশ জমে ওঠেছে টাটা মোটরসের পাঞ্চ এবং হুন্ডাই এক্সটার গাড়ির লড়াই। বিগত সময়ে মাইক্রো SUV সেগমেন্টে বড় বাজার দখল করে টাটা পাঞ্চ। সুরক্ষা ব্যাবস্থার সাথে শক্তিশালী পারফরম্যান্স বেশ সাড়া যোগায়। কিন্তু Hyundai এর Exter গাড়ি লঞ্চ হওয়ার পর সেই আধিপত্যে বেশ বড় প্রশ্ন চিহ্ন পড়েছে। এবার সেই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে Citroën। তাদের C3 গাড়িটিও কারো থেকে কম যায়না এই লড়াইতে।
নতুন Hyundai Exter গাড়িটিতে নতুন প্রযুক্তি, কমফোর্ট এবং একাধিক ফিচারস রয়েছে যা পাঞ্চ গাড়িতে নেই। কিন্তু Punch মার্কেটে বেশ কিছু সময় ধরে রয়েছে। এবং এই সেগমেন্টে নিজেকে প্রমাণিত করেছে। পাঞ্চ নো-ননসেন্স পারফর্ম্যান্স দেয় গ্রাহকদের। সাথে ইন্ডাস্ট্রি লিডিং GNCAP ক্র্যাশ টেস্টে 5স্টার রেটিংয়ের সাথে আসে। তাই নিরাপত্তার বিষয়ে পাঞ্চ বহু যোজন এগিয়ে।
Hyundai Motors বেশ কয়েক বছর ধরেই ভারতের বাজারে বেশ বড় প্লেয়ার। কম দামেই শক্তিশালী এবং ফিচার রিচ গাড়ি নিয়ে আসে দক্ষিণ কোরিয়ান সংস্থাটি। সেই ট্রেন্ড বজায় রেখে এক্সটার গাড়িতেও একগুচ্ছ ফিচার যোগ করেছে তারা। আকারে এক্সটার পাঞ্চের চেয়ে ছোট। কারণ পাঞ্চ গাড়িটির দৈর্ঘ্য 3827 মিমি, প্রস্থ 1742 মিমি এবং এক্সটারের দৈর্ঘ্য 3815 মিমি এবং প্রস্থ 1710 মিমি। উচ্চতায় এবং হুইলবেস সামান্য বড় এক্সটার গাড়ির।
পাঞ্চ গাড়িতে 187 মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে এক্সটারে সেই অংক 185 মিমি রয়েছে। বুট স্পেসও বড়, এক্সটারে 391 লিটার এবং পাঞ্চ গাড়িতে 366লিটার। আবার এক্সটার যেখানে 175-সেকশন টায়ারের সাথে 15″ অ্যালয় হুইল অফার করে পাঞ্চ গাড়িটি 195-সেকশন টায়ার সহ 16″ অ্যালয় অফার করে। দুই গাড়িতেই 1.2L NA পেট্রোল ইঞ্জিন রয়েছে। তবে কাগজে কলমে পাঞ্চের ইঞ্জিন অধিক শক্তিশালী।
Exter যেখানে 82 bhp শক্তি এবং 113 Nm টর্ক উৎপন্ন করে সেখানে পাঞ্চের শক্তি 87 bhp এর এবং 115 Nm টর্ক তৈরী করে। তবে এক্সটার 4-সিলিন্ডারের সাথে আসে এবং পাঞ্চে রয়েছে 3 সিলিন্ডার। তাই এক্সটার গাড়িটি বেশি মসৃণ এবং রেসপন্সিভ। দুটি গাড়িই 5MT এবং 5AMT অফার করে। মাইলেজেও খুব বেশি পার্থক্য নেই। যদিও সুরক্ষার হিসেবে পাঞ্চের সামনা সামনিও নেই এক্সটার। 5 স্টার ক্র্যাশ রেটিংয়ের কারণে Exter এর চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে সুরক্ষার ক্ষেত্রে।
Citroen C3 এর দাম কিছুটা বেশি। এখানে আপনি ABS, রিয়ার পার্কিং সেন্সর এবং পাওয়ার স্টিয়ারিং এর মত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য পেয়ে যাবেন যা আপনার ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা বাড়ায়। 180mm গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স গাড়িটিকে অফরোডের জন্যও উপযুক্ত করেছে। সাথে 19.3 kmpl হাইওয়ে মাইলেজ ও মোটামুটি ভালই।
দুই গাড়িতেই রিয়ার ওয়াশার এবং ওয়াইপার, রিয়ার ডিফগার, প্রজেক্টর হেডলাইট, অটো হেডলাইট, ডিআরএল, এলইডি টেইল লাইট, বডি ক্ল্যাডিং রয়েছে। কিন্তু পাঞ্চ অটোম্যাটিক ওয়াইপার এবং কর্নারিং লাইট অফার করে, যা এক্সটারে নেই। দুটি গাড়িরই বেস মডেলের দাম শুরু হয় 6 লক্ষ থেকে। অন্যদিকে C3 এর দাম শুরু হয় 6.16 লক্ষ টাকা থেকে।