গত ১লা ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাকি সব বিষয়ের পাশাপাশি এবার বাজেটে সরকারের সর্বোচ্চ নজর রয়েছে ইভি গাড়ির উপর। এই মুহূর্তে এই খাতে কোনও ঘোষণা না করলেও ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে তার আভাস দিয়েছে। সীতারামন জানিয়েছেন, আগামী দিনে চার্জিং পরিকাঠামো বাড়াবে এবং একই সাথে বাড়বে বৈদ্যুতিক গাড়ির ইকোসিস্টেমও।
ই-বাসের প্রচার : বাজেট পেশ করার সময় তিনি আরও বলেন, গণপরিবহন নেটওয়ার্কের জন্য ই-বাস চালু করা হবে। পেমেন্ট সিকিউরিটি মেকানিজমের মাধ্যমে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কের জন্য ই-বাসের উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
এছাড়াও বিদেশ থেকে আসা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সেলের ওপর আরোপিত শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এবং বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সরকারের এই পদক্ষেপ আগামী দিনে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসাকে আরও বৃদ্ধি করবে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও বাড়বে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, ভারতে দ্রুত বর্ধমান ইভি-র বাজার বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়ীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার আগামি ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে। বার্ষিক বিক্রয়ের নিরিখে এটি ১০ মিলিয়ন অতিক্রম করবে বলে ধারণা অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
একই সাথে বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, কেবল এই ইভি খাতেই কম করে হলেও প্রায় ৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এবং আগামী দিনে তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা। এবং ইভির এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ভারত সরকার ইভি উৎপাদনের উপর আরও বেশি করে জোর দিতে চাইছে বলে খবর। একই সাথে আর্থিক সহায়তার উপরেও বিশেষ নজর দিচ্ছে ভারত সরকার।