Read In
Whatsapp
Electric Vehical

ইলেকট্রিক ব্যাটারি সম্পর্কে এই তথ্যগুলো দেখে নিন, চলে এতদিন আর পাল্টানোর খরচ মাত্র এত

ইলেক্ট্রিক স্কুটারের বাজার এখন দূর্দান্ত গতিতে বেড়ে চলেছে। কিন্তু সেখানে সমস্যাও কম নেই। বিশেষ করে ব্যাটারি নিয়ে। বৈদ্যুতিক স্কুটারের সবচেয়ে শক্তিশালী বিষয়টাই এর সবচেয়ে খারাপ দিক বলে প্রতিপন্ন হচ্ছে। ব্যাটারিতে চার্জ নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। আজ এখানে ইলেকট্রিক স্কুটারের নানান পার্টস এবং ব্যাটারির সম্পর্কে জানাবো আপনাদের।

যারা বৈদ্যুতিন স্কুটার ব্যবহার করছেন তাদের জেনে রাখা উচিৎ ব্যাটারি সম্পর্কে। কিভাবে এবং কোন উপায়ে ব্যাটারি বেশিদিন চলবে। কোন ব্যাটারি আপনার গাড়ির জন্য উপযুক্ত ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য দেখে নিন নিচে।

আপনাদের জানিয়ে দিই যে, ব্যাটারির বয়স, ক্ষমতা এবং চালক কী ভাবে চালাচ্ছেন তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বেশিরভাগ ইলেকট্রিক স্কুটারে যে ব্যাটারি রয়েছে তা 3-4 বছর টেকে। এছাড়া সেগুলো মোট 5000 থেকে 6000 চার্জিং সাইকেল পর্যন্ত ব্যবহার করা সম্ভব। এরপর থেকে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। আপনিও আর আগের সমান রেঞ্জ পাননা।

তাহলে কখন নতুন ব্যাটারি লাগাতে হবে?
সাধারণত নষ্ট হয়ে যাওয়া ব্যাটারি অনেক বেশি সময় নেয় চার্জ হতে। একইসাথে মাইলেজও কমে যায় অনেকখানি। তখনই ব্যাটারী পরিবর্তন করতে হয়। নতুন ব্যাটারি কেনার আগে অবশ্য সার্ভিস সেন্টারে দেখিয়ে নেওয়া উচিত। সেখানে ব্যাটারি খুঁটিয়ে দেখে পরামর্শ দেন।

আপনাদের সুবিধার জন্য জানিয়ে রাখি যে, ভারতে মোট 3 ধরনের ব্যাটারির ব্যবহার হয়। এগুলো হলো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি, লেড অ্যাসিড ব্যাটারি এবং মেটাল হাইড্রাইড ব্যাটারি। এখানে উল্লেখ্য, মেটাল হাইড্রাইড ব্যাটারির তেমন ব্যবহার হয়না এবং লেড অ্যাসিড ব্যাটারিরও ব্যবহার খুবই কম। এগুলো ওজনে খুব ভারী হলেও বেশিদিন চলেনা এবং সেইসাথে দামও কম হয়।

মূলত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি। ওজনে হালকা হয়, মাইলেজ বেশি থাকে এবং সেইসাথে চলেও বহু বেশি সময়। দামও খুব বেশি না হওয়ায় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ব্যাবহার সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে বৈদ্যুতিন স্কুটারে যে ব্যাটারি প্যাক রয়েছে তা 50 থেকে 80 হাজার টাকা দামের সাথে আসে। সার্ভিস সেন্টার অথবা মেকানিকের কাছে গিয়ে ব্যাটারি পরিবর্তন করতে পারেন আপনি।

Back to top button