ভারতের বেশির ভাগ মানুষ বেশি জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ির খোঁজ করে কিন্তু পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে সাধারণত ভালো মাইলেজের গাড়ির বাজেট পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। তবে হালফিলে এমন অনেক গাড়িই লঞ্চ হচ্ছে যা একইসাথে বাজেট ফ্রেন্ডলি এবং ভালো মাইলেজ দেয়। একই গল্প স্কুটার এবং বাইকের ক্ষেত্রেও।
আপনাকে যদি ভালো মাইলেজ পেতে হয় তাহলে নতুন গাড়ি/বাইক/স্কুটার কেনার পর তা দেখভালের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আজ আমরা এখানে জ্বালানি দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এখানে কিছু প্রয়োজনীয় টিপস সম্বন্ধে জানাচ্ছি। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।
Maintaining Tyre Pressure : টায়ারের প্রেসার ঠিকঠাক রেখে আপনি গাড়ির জ্বালানি দক্ষতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। অর্থাৎ Underinflated টায়রের ক্ষেত্রে জ্বালানির খরচ বেশি হয়। অন্যদিকে Overinflated টায়ারে জ্বালানি খরচ অনেকটাই কম।যে কারণে নিয়মিত টায়ার প্রেসার গেজ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন গাড়ি বিশেষজ্ঞরা।
Reduce Extra Weight : গাড়ির কিছু ওজন কমিয়ে আপনার গাড়ি/বাইক/স্কুটারের জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে পারেন। ভারী সরঞ্জাম, অতিরিক্ত জামাকাপড় বা ক্রীড়া সরঞ্জামের মতো অপ্রয়োজনীয় জিনিস যদি গাড়ির মধ্যে থাকে তাহলে তা সেখান থেকে সরিয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত ওজনের ফলে বেশি শক্তি এবং বেশি জ্বালানি খরচ হয়।
Use Cruise Control : হালফিলের সমস্ত বেশকিছু প্রিমিয়াম গাড়িতেই ক্রুজ কন্ট্রোল ব্যবস্থা থাকে। এটি মূলত জ্বালানি সংরক্ষণের একটি দূর্দান্ত উপায়। এটি যেমন ফুয়েল ইকোনমিকে বাড়াতে সাহায্য করে তেমনই স্পিড স্টেডি রাখতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় জ্বালানী খরচ রোধ করে। তবে মনে রাখবেন, পাহাড়ি রাস্তায় বা হেভি ট্রাফিক যুক্ত এলাকায় এর ব্যবহার না করাই ভালো। উল্লেখ্য দুই চাকার জন্য এই সুবিধা উপযুক্ত নয়।
Avoid Idling : ট্রাফিকে আটকে আছেন বা কোনও কারণে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছেন, এমন পরিস্থিতিতে ইঞ্জিন বন্ধ করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এতে অযথা অনেকটা জ্বালানি নষ্ট হয়ে থাকে। এছাড়াও, যদি সম্ভব হয় তাহলে অটো-স্টার্ট-স্টপ বৈশিষ্ট্য সহ একটি নতুন গাড়ি কেনার কথা ভাবতে পারেন।