দূষণ নিয়ন্ত্রণে অন্যতম সেরা সমাধান হিসেবে সামনে এসেছে ইলেকট্রিক যানবাহন। এরমধ্যে সবার আগে রয়েছে স্কুটার। যার কারণে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত যানবাহনের তুলনায় ব্যাটারিচালিত স্কুটার বেশি বিক্রি হচ্ছে। এমতাবস্থায় অনেকেই আবার কনফিউশনে থাকেন যে, তারা পেট্রল চালিত স্কুটার কিনবেন নাকি ইলেকট্রিক স্কুটার? তাদের জন্যই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন। এরমধ্যে কোন স্কুটারটি আপনার জন্য ভালো হবে দেখে নিন।
ইলেকট্রিক স্কুটির সুবিধা-অসুবিধা
১. ইলেকট্রিক স্কুটার যেহেতু ব্যাটারিতে চলে তাই জ্বালানির ঝামেলা করতে হয়না। যেহেতু তেল ভরানোর ঝামেলা নেই তাই জ্বালানির দাম নিয়েও মাথাব্যথা করতে হয়না।
২. ইলেকট্রিক স্কুটার আর পেট্রল স্কুটারের মাইলেজে বিশেষ কোন পার্থক্য নেই। তেলের চেয়ে অনেক কম খরচায় চালানো যায় এই স্কুটার।
৩. যারা কাছেপিঠে যাতায়াত করার জন্য স্কুটার কিনতে চান তাদের জন্য আদর্শ হবে এই ই-বাইক। তবে লং রাইডের জন্য একটু সমস্যা হবে। কারণ রাস্তাঘাটে যে পরিমাণ পেট্রল পাম্প দেখা যায় সেই পরিমাণ চার্জিং স্টেশন এখনও তৈরী হয়নি।
৪. একদিকে তেল ভরতে সময় লাগে মাত্র কয়েক মিনিট। তবে স্কুটার চার্জ হতে বেশ ভালোই সমস্যা লাগে।
৫. ইলেকট্রিক স্কুটারে যেহেতু যান্ত্রিক জটিলতা কম তাই মেইনটেনেন্সের ঝামেলাও কম।
পেট্রল স্কুটারের সুবিধা-অসুবিধা
১. লিটার পিছু সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ দিতে পারে পেট্রল স্কুটার। ইলেকট্রিক স্কুটারে এর চেয়ে কম খরচে মাইলেজ বেশি পাওয়া যায়।
২. পেট্রল পাম্পে গিয়ে তেল ভরাতে সময় লাগে মাত্র ২-৩ মিনিট। এদিকে ইলেকট্রিক স্কুটার চার্জ দিতে সময় লাগে কয়েক ঘন্টা।
৩. পেট্রল স্কুটারের যান্ত্রিক জটিলতা যেহেতু বেশি তাই এর মেইনটেনেন্স খরচও বেশি। তাই কিছু সময় অন্তর সার্ভিসিং, মেকানিকের সাহায্য নিতে হয়।
৪. পেট্রল স্কুটারে বেশ কিছু স্মার্ট ফিচার্স পাওয়া যায়। তবে ইলেকট্রিক স্কুটারে সবসময় এইসব ফিচার্স পাওয়া যায়না।
৫. এছাড়া পেট্রোল স্কুটারে পরিবেশ দূষণের হার-ও বাড়ে।