সারাবিশ্বেই মুদ্রাস্ফীতির অংক বেড়েছে বিগত সময়ে, আর তার খানিকটা হলে প্রভাব পড়েছে ভারতের ওপরেও। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির অংক বাড়ার কারণে বিভিন্ন পণ্যের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার এই মুদ্রাস্ফীতির সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত জ্বালানি মূল্য। পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। কিন্তু শীঘ্রই উচ্চ জ্বালানিমূল্য থেকে স্বস্তি মিলতে পারে। না, আজ আমরা বৈদ্যুতিক গাড়ির কথা বলছিনা বরং আজ কথা হচ্ছে জ্বালানি নিয়েই। বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো মাইলেজ নিয়ে চিন্তাও থাকবেনা আর। কিন্ত ঠিক কীভাবে জ্বালানি খরচ কমবে বুঝতে পারছেন না তো? চলুন জানাচ্ছি।
আসলে আজ আমরা যে বিষয়ে বলতে চলছি তাও একপ্রকার জ্বালানি গাড়িই। জ্বালানি গাড়ি নির্মাতা সংস্থা টয়োটা ফ্লেক্স নতুন এক গাড়ি নিয়ে আসছে। এই গাড়ির মাইলেজ 15 থেকে 20 কিমি, কিন্তু সেটা বড় কথা নয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই গাড়ির জ্বালানি।নতুন যে জ্বালানি নিয়ে কথা চলছে তাতে প্রতি কিমি যেতে টয়োটা গাড়িটির খরচ মাত্র 65 টাকা! আগামী 29 আগস্ট ভারতের বাজারে আসতে পারে টয়োটার ফ্লেক্স-ফুয়েল হাইব্রিড প্রোটোটাইপ।
টয়োটা ইনোভা হাইক্রসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হচ্ছে গাড়িটিকে। আর এই ফ্লেক্স ফুয়েল গাড়ির উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি। হাইব্রিড গাড়িটি চলবে 100 শতাংশ ইথানলের ওপর ভিত্তি করে, যা পুরোপুরি দূষণ মুক্ত। সাথ পেট্রোলিয়াম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং দূষণ কমাতেও সাহায্য করবে E-100(Bio-fuel)।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি বলেন, “এই টয়োটা গাড়িটি 100 শতাংশ বায়ো-ইথানল জ্বালানিতে চলবে। আর এই জ্বালানি ব্যবহার করেই শক্তিশালী হাইব্রিড সিস্টেমের জন্য 40 শতাংশ শক্তি উৎপাদন করতে পারবে ইঞ্জিনটি।” এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও জানান, ইথানলের দাম হবে লিটার প্রতি 60 টাকা এবং গাড়িটি 15 থেকে 20 কিমি মাইলেজও দিতে পারবে। এরফলে দীর্ঘ যাতায়াতের ক্ষেত্রে পেট্রোলের তুলনায় অনেক সস্তা হবে এই ফ্লেক্স ফুয়েল।
জৈব জ্বালানী প্রচারের জন্য 2022 সালের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং টয়োটার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেখানে থেকে এমন খবরও আসছে যে, মারুতি সুজুকিও ফ্লেক্স-ফুয়েল গাড়ি আনতে পারে। কারণ Maruti Suzuki আগের বছরই Wagon R প্রোটোটাইপ প্রদর্শন করেছে, যা 85 শতাংশ ইথানল মিশ্রণে চলতে পারে।